‘ছিঁচকাঁদুনে’
উল্লাস মল্লিক

উল্লেখ্য,
গত বছর আনন্দমেলা পুজো সংখ্যায় উল্লাস মল্লিক ‘মুড়কি মুড়ি’ নামে যে গল্পটি
লিখেছিলেন তার বিষয়বস্তুও ছিল পুজো৷ পরিস্কার করে বললে পুজোর প্রতিমা গড়া৷ দয়াল
জ্যাঠা প্রতিমা গড়তে গিয়ে প্রতিবারই কিছু না কিছু ভুল করে ফেলেন। কিন্তু শেষবার,
যেবার দয়াল জ্যাঠার ছেলে বাবিন কাশ্মীরে লড়াই করতে গিয়ে মারা যায়, সেবার পুজোয়
কার্তিকের মুখে অবিকল বাবিনের মুখ ফুটিয়ে তুলেছিলেন৷ প্রতিমার থিমে শুধুমাত্র
আধুনিকতা নয় একটা বার্তাও যেন দিতে চেয়েছিলেন৷ সেবার তার প্রতিমায় কোনো খুঁত ছিল
না, যা তার জীবনে প্রথমবার৷ আর তারপর তিনি আর কোনাদিন প্রতিমা গড়েননি৷
দুই
বছরের গল্পের বিষয়বস্তু পুজো৷ প্রথমবার প্রতিমা গড়া অর্থাৎ যেন বোধন দিয়ে শুরু
কিন্তু শেষ হয়েছে বিসর্জনে৷ আর এবার শুরু বিসর্জন দিয়ে কিন্তু তার শেষে যেন
বোধনের সুর৷ এ যেন বোধনে বিসর্জন আর বিসর্জনে বোধন৷ দুই গল্পকে ছুঁয়ে আছে এক
দুঃখের বাতাবরণ৷ তবে দুই গল্পের বিসর্জনের মধ্য দিয়ে অদ্ভুত একটা ছবি ফুটে
উঠেছে---দুঃখ দয়াল জ্যাঠা কিংবা ফুলু দুটো চরিত্রের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করেছে৷ দুঃখকে যদি অন্ধকার ধরি তাহলে এই বিকাশ নিঃসন্দেহে আলো৷ তাই গল্পের
শেষে মনে হয়েছে এ যেন অন্ধকার থেকে আলোয় উত্তরণ৷ আর এই উত্তরণের ছবি আঁকায় গল্পকারের
শৈল্পিক লেখনীর ছোঁওয়া আমাদের আলাদা করে টানে৷ লেখককে আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা ও
শুভেচ্ছা জানাই৷
No comments:
Post a Comment